চলছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বুধবার (২১ জুন) সকালে নগরীর ৩০ ওয়ার্ডের এক হাজার ১৫৩টি কক্ষে একযোগে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ।
তবে মোট ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের অর্ধেক কেন্দ্রেই নিজেদের এজেন্ট দিতে পারেনি জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। মাত্র ৭০/৭২টি ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন খোদ প্রার্থীই।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালদা কলোনি এলাকার আটকশি হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে এসব জানান সাইফুল ইসলাম স্বপন।
স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, আজ সকালে ভোট শুরুর দিকে কয়েকটি কেন্দ্রে আমার এজেন্ট প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রশাসনের তৎপরতায় এজেন্ট প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়।
নগরীর কয়টি কেন্দ্রে দলীয় এজেন্ট দেওয়া হয়েছে— প্রশ্নে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বলেন, সব কেন্দ্রে এজেন্ট রাখার প্রয়োজন মনে করিনি। যেমন, এই কেন্দ্রে (আটকশি হাইস্কুল কেন্দ্রে) আমার এজেন্ট রাখিনি। আমার নিজের কেন্দ্র এটা, এখানে এজেন্ট রাখার দরকার কি? সব মিলিয়ে ৭০/৭২টির মতো কেন্দ্রে এজেন্ট রাখা হয়েছে।
ইভিএমের সমালোচনা করে স্বপন বলেন, আমরা শুরু থেকেই ইভিএমে ভোট গ্রহণের পরিবর্তে ব্যালট পেপারের দাবি জানিয়ে আসছি। আজকেও খোঁজ নিলাম অনেকে ভোট দিতে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। অনেক জায়গায় ভোট প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ৮টা থেকে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একযোগে চলছে এই ভোটগ্রহণ। নগরীর ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি কক্ষে চলমান ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারই প্রথম রাসিকের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে চলছে ভোটগ্রহণ।
৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটারের এই নগরীতে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। আর নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ভোটার ৬ জন। এবার নতুন ভোটার রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল)।
এছাড়াও ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১১ জন ও ১০টি সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে লড়ছেন ৪৬ জন প্রার্থী। এদিকে নগরীর ২০নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন রবিউল ইসলাম।