বাগেরহাটের চিতলমারীতে নেশার টাকা না পেয়ে নিজের মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাব্বি খাকী (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চরচিংগড়ী গ্রাম থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর লাভলী বেগম (৪৫) নামে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত লাভলী বেগম উপজেলার শান্তিখালী গ্রামের আনোয়ার খাকীর স্ত্রী এবং চরচিংগড়ী গ্রামের মনছুর আলী শেখের মেয়ে।
জানা যায়, উপজেলার শান্তিখালী গ্রামের আনোয়ার খাকীর সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয় লাভলীর। রাব্বি খাকী ওই ঘরের সন্তান। পরে লাভলীর সঙ্গে বাগেরহাটের মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। ওই ঘরে সেরা (১০) ও লাবনী (৭) নামে দুই মেয়ে রয়েছে।
লাভলীর বড় ভাই মো. আফজাল শেখ বলেন, দ্বিতীয় স্বামী মনিরুজ্জামানের মৃত্যু হলে লাভলী তিন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে পরানপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। এদিকে ছেলে রাব্বি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। মাদককের টাকার জন্য প্রায় মাকে মারধর করতেন তিনি। গেল ২০ মে রাত ৮টার দিকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লাভলী বেগমের সঙ্গে ছেলে রাব্বির ঝগড়া হয়। এরপর থেকে লাভলী বেগম নিখোঁজ ছিলেন।
শনিবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চরচিংগড়ী গ্রামের মফিজুর রহমানের বাড়ির পাশে খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করতে গেলে লোকজন কচুরিপানার নিচে লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
চিতলমারী থানার ওসি এস এম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাভলী বেগমের লাশ উদ্ধার করেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে ছেলে রাব্বি পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, নিহতের একাধিক বিয়ে ছিল। প্রথম ঘরের সন্তান রাব্বি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। কয়েকদিন ধরে মাদক সেবনের জন্য টাকা চাওয়া নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া চলছিল। ২০ মে রাতে মা-ছেলের মধ্যে সবশেষ ঝগড়া হয়। ওই রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।