নির্বাচনে এসে বিএনপিকে নিজেদের শক্তি যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১২ জুন) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ঢাকা-১৬ আসনের অন্তর্গত ইউনিটের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ভাগ ভোটও পাবেন না। আসেন না। ইলেকশনে নিজেদের শক্তিটা যাচাই করে দেখেন। সিটি নির্বাচনে গেলেন না। কাউন্সিলররা তো ঠিকই গেল।
তিনি বলেন, কয় দিন পর শুনব, মনোনয়ন বাণিজ্য শুরু হয়ে গেছে।
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আজকে খবর পাইছেন? বিপুল ভোটে বরিশালে বিজয়ের পথে, বিজয়ের পথে খুলনায়। বিজয়ের খবর। দুই তৃতীয়াংশ কেন্দ্রের ভোট গণনা হয়েছে। ইলেকশন কমিশন বলেছে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে নাকি শেখ হাসিনার সময়ে মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ নেই। বিএনপি বলে, সুজন বলে। তাহলে গাজীপুরে কি হলো? ৫০ পারসেন্ট, ৪০ পারসেন্ট গাইবান্ধা নির্বাচনে।
কাদের বলেন, আগ্রহ নেই? আপনারা নাই বলে ভোটার আসবে না, এই দুঃস্বপ্ন দেখে ফখরুল সাহেব লাভ নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ নিয়ে তুলকালাম। আরে তোরা দিলি খাম্বা, আমরা দিলাম বিদ্যুৎ। যদি বিদ্যুতের ঘাটতি হতো, কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ হয়ে গেল। কোথাও কি বিদ্যুৎ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে? কার সময়?
তিনি বলেন, আজকে যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকত, বিশ্বকাপে কত যে বিদ্যুৎ নিয়ে ভাঙচুর হতো! বিএনপির সময় মানুষ একটা বিশ্বকাপও ঠিক মতো দেখতে পারেনি। লোডশেডিং।
বিএনপি ও এরশাদ আমলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উপরে আল্লাহর রহমত আছে। শেখ হাসিনার উপর মানুষের দোয়া আছে। শেখ হাসিনা যাবে না। সারারাত জেগে যে নেতা মানুষের কথা ভাবে, খাদ্যদ্রবের দাম কোথায় কত বাড়ল সে কথা ভাবে, সে নেতাকে হটানো এত সহজ নয়।
তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমে গেছে, লোডশেডিংও কমে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে আর থাকবে না।
বাজারে বিভিন্ন জিনিসের দাম কমতে শুরু করেছে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আরেক তেল সয়াবিন। দাম কমছে? কিছু কিছু জিনিসের দাম কমতে শুরু করেছে। ইনশাআল্লাহ এই দুঃখ, কষ্ট আপনাদের থাকবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে লাফালাফি করতে করতে শেষ! এই বুঝি সরকার পড়ে গেল! এত সোজা? চিন্তা করবেন না। আছি আমরা। শেখ হাসিনা আছেন।
আওয়ামী লীগ মরে গেলেও বেইমানি করবে না বলে উল্লেখ করেন কাদের। তিনি বলেন, আমরা মরে যাব, কিন্তু মানুষের সঙ্গে বেইমানি করব না। জনগণের সাথে বঙ্গবন্ধু বেইমানি করেন নাই। তার কন্যা শেখ হাসিনা। ভরসা রাখবেন।
তত্ত্বাবধায়ক চাইলে বিএনপিকে আদালতের সঙ্গে ফয়সালা করার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব, নির্বাচনে আসেন না। আপনারা তো তত্ত্বাবধায়ক চান। তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে আপনারা পেয়েছিলেন ৩০টা সিট। ওই তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না। মরে গেছে। আমরা পাঠাইনি। পাঠাইছে আদালত। আদালতের সঙ্গে গিয়ে ফয়সালা করেন।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লাসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় এবং মহানগরের নেতারা।