ঝালকাঠিতে ৭২ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ক্ষোভ ফুঁসে বিদ্যুত অফিস ঘেরাও এবং ভাংচুর করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জনসাধারণ বিদ্যুত অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার ৭২ঘণ্টায়ও চালু না হওয়ায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ জনতা। সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষুব্ধ একাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থী জানায়, আমাদের সামনে পরীক্ষা। বর্ষা-বন্যায় এমনিতেই নাকাল অবস্থায়। তারপরে ৩দিন ধরে বিদ্যুত নাই। তীব্র গরমে গোসল, খাবার পানি, বাথরুমের পরিচ্ছন্নতার কাজে অসহায় অবস্থায় থাকতে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জেলা প্রশাসক খোজ খবর নিলে সকাল ১০টায় বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার আশ্বাস দেন নির্বাহী প্রকৌশলী। তবুও সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে বিদ্যুত সংযোগের কোন তৎপরতা না থাকায় লোকজন জড়ো হয়। এর মধ্যে ফাকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গ্লাস ভাংচুর করে। কয়েকজনে প্রধান ফটকও ধাক্কাধাক্কি করে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ৭২ঘণ্টা পূর্বে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ঝড় বন্যা কমলেও দ্রুত বিদ্যুত দেয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নাই। দায়সারাভাবে ডিমেতালে লোক দেখানো কাজ করে। জেলা প্রশাসকের সাথেও দ্বিমুখী কথা বলেছে। আশপাশের সব স্টশনে বিদ্যুত থাকলেও শুধু ঝালকাঠি শহরে বিদ্যুত নাই। সে প্রতারক এবং কাজের অযোগ্য।
সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমানের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি ওয়াদা করেছেন আরো ২ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুত দিবেন।