উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন শনিবার ভ্লাদিভোস্তকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সাথে দেখা করেছেন। এছাড়া দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র বহন সক্ষম যুদ্ধিবিমান কারখানা ঘুরে দেছেন তিনি।
এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ভ্লাদিভোস্তকের নেভিচি বিমানঘাঁটিতে পৌঁছালে শোইগু তাকে অনার গার্ড এবং অভ্যর্থনা জানান।
খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া উত্তর কোরিয়ার নেতার এটি একটি ব্যতিক্রমী সফর। বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বিদেশে এটি তার প্রথম সরকারি সফর। কিমের এমন সফরে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে যে, মস্কো ও পিয়ংইয়ং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি অস্ত্র চুক্তি করবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি হতে চাই: কিম
মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে উত্তর কোরিয়ার গোলাবারুদ কিনতে আগ্রহী বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে পিয়ংইয়ং তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর উন্নয়নে রাশিয়ার সহায়তা চায়।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিমের সাথে বৈঠকের পর সামরিক সহযোগিতার ‘সম্ভাবনার’ ইঙ্গিত দিলেও ক্রেমলিন শুক্রবার বলেছে যে এক্ষেত্রে কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
এদিকে শুক্রবার রাশিয়ার যুদ্ধবিমান কারখানা পরিদর্শন করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উন (৩৯)। শুক্রবার দেশটির পূর্বদিকের শহর কমসোলস্ক শহরের একটি সামরিক কারখানা ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কমসোলস্ক শহরের মেয়র আলেকজান্ডার ঝরনিক ও খবরভস্ক অঞ্চলের গভর্নর মিখাইল দেগতিয়ারেভ। পরবর্তী সময়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কারখানায় পৌঁছাতে ট্রেন থেকে গন্তব্যস্থল পর্যন্ত কিমকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়।
কমসোলস্কের সামরিক কারখানাটিতে শক্তিশালী এসইউ-৩৫ ও এসইউ-৫৭’র মতো যুদ্ধবিমান রয়েছে। পাশাপাশি এতে বেসামরিক বিমানও তৈরি হয়।