মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির শত শত সেনা সদস্য পালিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার জান্তার সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারকে তাগিদ দিয়েছে মিজোরাম সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০০ সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছে।
পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকারের একটি সূত্র।
পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলো দখল করায় জান্তা সদস্যরা পালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ মিয়ানমার থেকে আমাদের দেশে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসছে এবং আমরা মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করছি। মিয়ানমারের সৈন্যরা আসছে, আশ্রয় খুঁজছে। আগে আমরা তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠাতাম। প্রায় ৪৫০ সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে উত্তর মিয়ানমারের তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী— মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে। পর্যায়ক্রমে কয়েকটি শহর ও সামরিক ঘাঁটি দখল করে তারা বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ফলে জান্তা সরকারের সেনারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর দেশটির জান্তা সরকার এবারই সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন।