• ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শর্তসাপেক্ষে আবারও এসকর্ট পাবেন চার দেশের রাষ্ট্রদূত’

ডেস্ক
প্রকাশিত মে ২৭, ২০২৩, ১৬:৪৪ অপরাহ্ণ
শর্তসাপেক্ষে আবারও এসকর্ট পাবেন চার দেশের রাষ্ট্রদূত’
সংবাদটি শেয়ার করুন....

শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরব এই চার দেশের রাষ্ট্রদূতদের পুলিশের নেতৃত্বে এসকর্ট সুবিধা বহাল থাকার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (২৭ মে) দুপুরে গণমাধ্যমকে দূতাবাসগুলোর চাহিদা সাপেক্ষে এসকর্ট সুবিধা বহাল থাকার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।

দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার সময়ের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে আগুন সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে বাইরে চলাফেরার সময় পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক এসকর্ট সুবিধা দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আগের পরিস্থিতি না থাকায় তাদের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছিল।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তবে রাষ্ট্রদূতরা চাইলে শর্তসাপেক্ষে আবারও সবাই এসকর্ট সুবিধা ফিরে পাবেন। রাষ্ট্রদূতদের এসকর্ট সুবিধা দেওয়ার জন্য আমাদের আনসার গার্ড রেজিমেন্ট (এজিবি) সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো দূতাবাস যদি মনে করে তাদের এসকর্ট সুবিধা দরকার তাহলে তারা সেখান থেকে সেই সুবিধা নিতে পারবে। একজন পুলিশ কমান্ডারের নেতৃত্বে তাদেরকে এসকর্ট সুবিধা দেওয়া হবে।

গত ১৪ মে এক আকস্মিক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে নিযুক্ত সব দেশের রাষ্ট্রদূতদের একই ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আরবের মিশন প্রধানরা ঢাকায় যে বিশেষ প্রটোকল পেতেন তা আর পাচ্ছেন না। এছাড়া বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা পতাকা উড়িয়ে চলাচল করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

ওইদিন সকাল ৬টার দিকে পুলিশের তরফে মার্কিন দূতাবাসকে জানানো হয়, আজ থেকে রাষ্ট্রদূত পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পাবেন না। অন্যান্য দূতাবাসকেও পর্যায়ক্রমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই রাষ্ট্রদূতদের বাইরে চলাফেরায় পুলিশের স্থায়ী এসকর্ট সুবিধা প্রত্যাহার নিয়ে নানা আলোচনা চলছেই।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, লোকবল সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আরও অনেকে এই সুযোগ চাচ্ছিলেন। এটা একটা প্রেস্টিজের বিষয়। আমাদের এত সম্পদ নেই যে, জনগণের ট্যাক্সের পয়সা দিয়ে সবাইকে বাড়তি প্রটোকল সুবিধা দেব। ৫৮ জন সবাই চান এই সুযোগ। আমরা এটা দিতে পারছি না। যার জন্য আমরা ঠিক করেছি কাউকে আর এ সুবিধা দেওয়া হবে না।