বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট (পাবলিক আর্থিক ব্যবস্থাপনায়) উন্নয়নের জন্য ২২৫৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এই ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাবলিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সাধন করা হবে। বার্ষিক সুদ হার ১.৬ শতাংশ সুদে এ টাকা ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ পরিশোধের সময়সীমা থাকছে ৩০ বছর।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শের-এ-বাংলা নগরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
৩ হাজার কোটি জাপানি ইয়েনের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২৫৩ কোটি টাকা) জাইকার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন-আর্থিক ব্যবস্থাপনা (পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট) শক্তিশালী করতে ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোনের অংশ হিসেবে জাপানি ওডিএ (অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স) ঋণ প্রদান করা হবে।
চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দ্রুতই এ বাজেট সহায়তা ঋণ বিতরণ করা হবে। এই ঋণের জন্য উন্নয়ন নীতি কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ব্যয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে জন-আর্থিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
এ নিয়ে জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে এবং বাংলাদেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ ঋণ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ তহবিল সরকারের বাজেটের চাহিদা মেটাতে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে এবং সংস্কার পরিকল্পনাকে গতিশীল করতে সহায়তা করবে।