এশিয়া কাপে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে কাল ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের পর এ টুর্নামেন্টে প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে এটিই টাইগারদের প্রথম জয়। বিশ্বকাপের আগে রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে ৬ রানের এই জয় অনুপ্রেরণা যোগাবে টাইগারদের। একই সঙ্গে বিশ্বকাপের জন্য সঠিক দলটি খুঁজে পেতেও নিশ্চয়ই সাহায্য করবে টাইগারদের এবারের এশিয়া কাপ মিশন। তবে কাল ম্যাচের পরে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, আসন্ন আইসিসির মেগা টুর্নামেন্টের জন্য কাঙ্ক্ষিত দল পেয়ে গেছেন তিনি।
২০১২ সালের এশিয়া কাপে সর্ব প্রথম ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচেও ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন সাকিব। ১১ বছর একই টুর্নামেন্টে ভারতীয়দের বিপক্ষে আরও একটি জয়ের দিনেও ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিবই। জয়ের অন্যতম নায়ক হিসেবে কাল ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে সাকিব বলেন, ‘যারা খুব বেশি খেলেনি, আমরা এ ম্যাচে তাদের সুযোগ দিয়েছি। আমরা ভেবেছিলাম, স্পিনাররা ভূমিকা রাখতে পারে। ভাগ্য ভালো যে তারা পেরেছে।’
তবে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই। কিন্তু গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের জয়ের পর সুপার ফোরে টানা দুই হার। এরপর কাল ভারতের বিপক্ষে জয়। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘অনেক চোট ছিল। খেলোয়াড়দের আসা এবং ছিটকে যাওয়া এশিয়া কাপে আমাদের খুব একটা সাহায্য করেনি।’ তবে এ টুর্নামেন্টে সফল হতে না পারলেও আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ঠিকঠাক দলই পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বিশ্বকাপের জন্য খুব ভালো একটি দল পেয়েছি আমরা।’
এদিকে ভারতের বিপক্ষে কাল ব্যাট হাতে ম্যাচ বাচানো এক ইনিংস খেলেছেন সাকিব। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে চাপের মুখে করেছেন ১০০ রানের জুটি, নিজেও ৮৫ বল খেলে করেছেন ৮০ রান। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘এশিয়া কাপে আমি খুব বেশ ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আজ আমি থিতু হওয়ার সময় পেয়েছি। প্রথম বাউন্ডারিটি মেরেই ভালো লেগেছে। বল পুরোনো হওয়ার পর খেলাটা কঠিন ছিল।’
ভারতের বিপক্ষে জয়ের দিনে সাকিব কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি অভিষিক্ত পেসার তানজিম সাকিব এবং স্পিনার শেখ মেহেদীকেও। তিনি বলেন, ‘মেহেদী যখন বোলিংয়ে এসেছে, তখন বল করা সহজ ছিল না। শেষ দিকে ও টানা ৫ ওভার বল করেছে। সাকিবকেও (তানজিম) কৃতিত্ব দিতে হবে।’