এইচ এম সিজার, নলছিটি।।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় ভৈরব পাশা ইউনিয়নের ষাইট পাকিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
গত ২৫ আগস্ট’২০২৩ইং তারিখ শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৪ ঘটিকায় এই চুরির ঘটনাটি ঘটে।
চুরি যাওয়া স্থান পরিদর্শন কালে জানা যায় ষাটপাকিয়া গ্রামের শাহ আলমের গাজির স্ত্রী মিনারা বেগম, তার নিজ গৃহে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ করে এই দুধের গরু লালন পালন করে আসছিল।
মিনারা অন্যসব স্ত্রীদের চাইতে অনেকটাই আলাদা তিনি একজন খেটে খাওয়া মানুষ। এই দুধের গরু পালন করে যে দুধ সংগ্রহ হতো তা বেচা বিক্রি করে তার সংসারে অনেকটা সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনে।
বর্তমানে গরুগুলিকে হারিয়ে সে এখন গোয়াল শূন্য তার আহাজারিয়ার চোখে দেখার মত নয়।
ঘটনার বিবরণঃ ২৫ আগস্ট’২৩, শুক্রবার দিবাগত রাত ১১ টা হইতে ভোর চারটার মধ্যে একটি সঙ্ঘবদ্ধ গরু চোরের দল তার নিজ গৃহে অবস্থিত গোয়ালঘরের তালা ভেঙে একে একে তিনটি গরু নিয়ে উধাও হয়ে যায়। ওই একই রাতে পার্শ্ববর্তী মনির গাজীর গোয়াল ঘর হইতে আরো দুইটি গরু নিয়ে যায় চোরের দল।
চুরি যাওয়ার পরে সকালে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান এবং অন্যান্যদের সহায়তায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ভৈরব পাশা ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত এসআই ও তার টহল দলকে নির্দেশ দেন সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার জন্য এবং শুধুমাত্র ষাটপাকিয়া বাস স্ট্যান্ডের চেক করে কোন কিছু অবলোকন করতে পারেনি। কিন্তু চেয়ারম্যান মহোদয় কর্তৃক ভৈরব পাশা ইউনিয়নের সিসিটিভি ফুটেজ অদ্য পর্যন্ত রহস্যজনকভাবে চেক করতে পারেনি।
জনমনে আক্ষেপ চুরি যাওয়া মাল উদ্ধারই না অন্তত সিসি ফুটেছে ধারণকৃত চুরি যাওয়া সময় কিছু দেখতে পাওয়া যায় কিনা এ সান্তনা টুকু পেতেও ব্যর্থ হলেন এই মিনারা।
মিনাদার এখন চিন্তায় মাথায় হাত কি করে এই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবে?