নওগাঁয় ইউনিসেফ বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত স্ট্রেন্দেনিং ক্যাপাসিটি অব দ্যা জুডিসিয়াল সিস্টেম ইন চাইল্ড প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসজেএসসিপিবি) প্রকল্পের আওতায় শিশু আইন ২০১৩ বাস্তবায়ন বিষয়ক সমন্য়্ব সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল বুধবার বিকালে নওগাঁ জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবু শামীম আজাদের সভাপতিত্বে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাইফুল ইসলাম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমতিয়াজুল ইসলাম, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ আধুনিক সদর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জাহিদ নজরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান ভূইঁঞা, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার আইভিন আক্তার, সহকারী কমিশনার আশীষ কুমার বোস, বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খোদাদাদ খঁান পিটু, বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ মকবলু হোসেন, জেল সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ, সমাজসেবা কাযালয়ের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশু আইন ২০১৩ এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ করে শিশু আইনে থানা ও প্রবেশন
অফিসারের দায়িত্ব ও কর্তব্য পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার লঘুদন্ড বিষয়ক আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুকে শিশু
আদালতে না প্রেরণ করে থানা পর্যায়ে বিকল্প পন্থা ব্যবহারে গুরুত্ব আরোপ করেন। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ
মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতে শিশু বান্ধব পরিবেশ তৈরীতে প্রবেশন কর্মকর্তাগণ তৎপর হবেন মর্মে জোরালো মতামত ব্যক্ত করেন। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবু শামীম আজাদ থানা পর্যায়ে শিশুকে আইনের সাথে সংঘাত মূলক লঘু কার্যক্রমে জামিন প্রদানে উৎসাহিত করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের দায়িত্ব শিশুর সবোর্ ৎকষ্ট স্বার্থ নিশ্চিত করা। আইনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান সঠিক সমন্ব ৃ য়ের মাধ্যমে কাজ করলে শিশু আইন ২০১৩ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। সভায় সকল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরবর্তীতে থানা শিশু বান্ধব পরিবেশ তৈরী ও আইন অনুযায়ী শিশুর সর্বোচ্চ স্বার্থ নিশ্চিত করণে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে মর্মে মত দেন।