বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ও দর্শন ধারণ করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
বুধবার (৭ জুন) স্পিকারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি অধ্যাপক ড. শঙ্কর কুমার সান্যালের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গান্ধীবাদী ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তারা বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বঙ্গবন্ধু ও গান্ধীর আদর্শ ও দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে একত্রে কাজ করে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন শান্তির জন্য কাজ করেছেন। এজন্য তিনি জুলিও কুরি পুরস্কার পেয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, আমাদের সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের সাথে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের মিল রয়েছে।
এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীসহ ভারতীয় জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অধ্যাপক ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল বলেন, হরিজন সেবক সংঘ হিন্দু-মুসলিম, উচ্চবর্ণ- নিম্ন বর্ণের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি তৈরি এবং অস্পৃশ্যতা নিবারণে কাজ করে চলেছে। এ সংঘের লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে শান্তি ছড়িয়ে দেওয়া। এজন্য তারা বঙ্গবন্ধু এবং মহাত্মা গান্ধীকে উপলক্ষ করে ‘পিস ভিজিটে’ বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং এই সংঘ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীকে সুদৃঢ় করার জন্য নিরলস কাজ করে যাবে। এ সময় হরিজন সেবক সংঘের পক্ষ থেকে সভাপতি ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল স্পিকারকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, নুরুন্নবী চৌধুরী, আহমেদ ফিরোজ কবির, আরমা দত্ত, রুমানা আলী ও অ্যাডভোকেট ঝর্ণা সরকার এবং গান্ধীবাদী প্রতিনিধি দলের সদস্য শ্রীমতী শিখা সান্যাল, শ্রী লক্ষ্মী দাস, শ্রী নরেশ যাদব, শ্রী রাজু ভাই পারমার, শ্রী কুনওয়ার শেখর বিজেন্দ্র, শ্রী পি মারুথি, শ্রী সঞ্জয় কুমার রায়, শ্রীমতী নিধি বিজেন্দ্র, বংশিকা শেখর, শ্রী বংশ শেখর, শ্রী মহেন্দ্র প্রসাদ, শ্রী ঈশ্বর সিং রাঠোর এবং বাংলাদেশ থেকে এএইচ নোমান, মিসেস তন্দ্রা বড়ুয়া, শ্রী শৈল বৈরাগীসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।