আশা ভরসার উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় দুইদিনেও পারেনি রজনীগন্ধাকে ভাসাতে। কর্তৃপক্ষের কেউ সঠিকভাবে বলতেও পারছেন না কবে নাগাদ ভাসবে ফেরি রজনীগন্ধা। অন্যদিকে আজও খোঁজ মেলেনি ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন কবিরের। হুমায়ূনের মৃতদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে তার পরিবার।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একসঙ্গে হামজা, রুস্তম ও প্রত্যয় উদ্ধারকারী জাহাজ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভাসানোর জন্য তিনটি হুকের মধ্যে ফেরির গায়ে দু’টি হুক পরানো হয়েছে।
ডুবুরি দলের কয়েক জন জানান, পদ্মার নিচে ফেরিটি উল্টে রয়েছে। ফেরিতে থাকা ট্রাক তার নিচে। সে জন্য বাকি ট্রাক উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ফেরিটিকে ভাসানো গেলে ট্রাক উদ্ধার করা যাবে। ডোবার সময় ভেসে যাওয়া তিনটি ট্রাক রুস্তম ও হামজার মাধ্যেমে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। তাবে নিখোঁজ ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ূন কবিরের খোঁজ আজও পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাহ-জাহান জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা মিলে সক্ষমতা ১২০ থেকে ১৩০ টন। নারায়নগঞ্জ থেকে আসা প্রত্যয়ের সক্ষমতা ২৫০ টন। ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে পলি মাটি পরে ৩৫০ টন ওজন ধারণা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তিনটি উদ্ধারকারী জাহাজ একত্রে চেষ্টা করলে, ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, আজ সকাল থেকে তিনটি উদ্ধারকারী জাহাজ একসঙ্গে ফেরিটি উদ্ধারে কাজ করছে। ফেরিটিকে ভাসানোর জন্য তিনটি হুক পরানো হবে। ইতোমধ্যে দু’টি হুক পরানো হয়েছে। আর একটি হুক পরানো হলে ফেরিটিকে উপরের দিকে টান দিয়ে ভাসানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ূন কবির ফেরির কোনো এক জায়গায় আটকে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে ৯টি ট্রাক নিয়ে ডুবে যায় রজনিগন্ধা ফেরিটি। এ ঘটনায় ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ূন কবির নিখোঁজ ব্যতীত ফেরিতে থাকা অন্য সবাই জীবিত উদ্ধার হয়।