• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিক্ষুক ও শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

ডেস্ক
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
ভিক্ষুক ও শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

চাঁদপুরে ভিক্ষুক নারীকে গণধর্ষণ এবং গাইবান্ধায় ১১ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুততর সময়ে গ্রেফতার, বিচার করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১৫ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তিতে এক ভিক্ষুক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে গাইবান্ধায় পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ১১ বছরের কন্যাশিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

চাঁদপুরের ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বলা হয়, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তির কচুয়া উপজেলার গোহট ইউনিয়নের চান্দিয়াপাড়া গ্রামের এক ভিক্ষুক (৪০) শাহরাস্তি উপজেলার বেরনাইয়া বাজার এলাকায় ভিক্ষা শেষে বেরনাইয়া বাজার থেকে অটোরিকশাযোগে বাড়িতে যাচ্ছিলো। পথে রঘুরামপুর ব্রিজের ওপর পৌঁছালে সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৮), আবুল হোসেনের ছেলে ইমাম হোসেন মিয়াজী (২১), যাদপুর গ্রামের হাসান আহমেদের ছেলে বেলায়েত হোসেন (৩০) ও মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল কাদির (২০) তাকে অটোরিকশা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে রঘুরামপুর গ্রামের আরিফ উল্লাহ পাটওয়ারী বাড়ির শাহ-আলমের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং ভিক্ষার টাকা কেড়ে নেয়।

এ ঘটনায় শাহরাস্তি থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে গাইবান্ধার সদর থানাধীন এলাকায় গত ১২ জানুয়ারি রাতে শিশুটি তার পাশের বাড়ির জুয়েল মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রাতে বাড়িতে আসার সময় এলাকার বখাটে মাস্তান এনামুল হক জোরপূর্বক মুখে কাপড় গুঁজে নির্জন পুকুর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। গুরুতর অসুস্থ হলে মেয়েটিকে রেখে এনামুল পালিয়ে যায়। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে ১৩ জানুয়ারি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় বখাটে মাস্তান এনামুল হকের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

নির্যাতনের ঘটনা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মহিলা পরিষদ বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও কন্যার প্রতি ধর্ষণের ঘটনাসমূহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তাঘাট, গণপরিবহণসহ সর্বত্র নারী ও কন্যার নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সংঘটিত এসব ঘটনা নারী ও কন্যার স্বাভাবিক জীবনযাপন, গণপরিসরে স্বাধীন চলাচল, নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের দাবি জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী ও কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনাদ্বয়ের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে। সেইসাথে এ ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।