• ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদ নির্বাচন: ১০ লাখ ক্ষুদেবার্তায় নানা তথ্য দেবে ইসি

ডেস্ক
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২৩, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ
সংসদ নির্বাচন: ১০ লাখ ক্ষুদেবার্তায় নানা তথ্য দেবে ইসি
সংবাদটি শেয়ার করুন....

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নাগরিকদের চাহিদা মোতাবেক নানা তথ্য মোবাইলে ক্ষুদেবার্তায় জানাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ১০ লাখ ক্ষুদেবার্তা সংরক্ষণ করছে সংস্থাটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এতে ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম, এলাকার নাম থাকবে। একজন ভোটার সহজেই তার ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রের নামসহ অবস্থান জানতে পারবে।

এছাড়া কোনো নির্বাচনে প্রার্থী কে, কাদের মনোনয়নপত্র বৈধ কিংবা অবৈধ হলো, কারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন, কোনো প্রার্থীর প্রতীক কি ইত্যাদি জানা যাবে। অন্যদিকে নির্বাচনী ফলাফলও পাওয়া যাবে অ্যাপটিতে। এতে ভোট চলাকালীন একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর থাকবে ভোটার উপস্থিতির তথ্য। রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণার পরপর পাওয়া যাবে ফলাফলের হালনাগাদ তথ্য। এসব তথ্যই দেওয়া হবে মোবাইলে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে।

ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। এনআইডি অনুবিভাগের স্মার্টকার্ড প্রকল্পের অধীন ক্ষুদেবার্তা সার্ভিস রয়েছে, যেখান থেকে ইসির কলসেন্টার পরিচালিতও হয়। এক্ষেত্রে সেখান থেকে ১০ লাখ ক্ষুদেবার্তা সংরক্ষণ করতে বলেছে ইসি।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা ও নির্বাচনী অ্যাপে যথাক্রমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছুক প্রার্থী ও ভোটার/ব্যবহারকারীদের নানাবিধ নোটিফিকেশন স্ট্যাটাস আপডেট বার্তা পাঠানোর জন্য এসএমএস সার্ভিস প্রয়োজন।

এই অবস্থায় নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে ১০ (দশ) লাখ ক্ষুদেবার্তা এক বছরের জন্য আইডিইএ প্রকল্প (ফেজ-২) থেকে আইসিটি অনুবিভাগকে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ভোটার, প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এটি ব্যবহার করে কেউ তথ্য চাইলে তা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ চার হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছ ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই এবার ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে পাঁচ শতাংশের মতো। শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্র টিকেছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এতে ভোটকক্ষ রয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজারের মতো।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ইতোমধ্যে জানিয়েছে নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে করা হবে ভোটগ্রহণ।